সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাসস্টেশনের বনফুল কোম্পানীর নামে দীর্ঘদিন প্রতারণামূলক ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে জানা যায়, ঈদগাঁও বাসস্টেশনের আরফাত শপিং কমপ্লেক্সের নিচতলায় ডুলাহাজারা এলাকার আয়ুব নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে বনফুল কোম্পানীর এজেন্ট নিয়ে ব্যবসা করে আসছিল। মাঝপথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় উক্ত আয়ুবকে তাদের কোন ধরণের মালামাল দিচ্ছে না। সে সুবাদে গত ৩ মাস ধরে বিভিন্ন কোম্পানীর মালামাল মজুদ করে রেখে বনফুল কোম্পানীর মালামাল বলে প্রচার ও বিক্রি করে আসছে। এছাড়া স্থানীয়রা সরল বিশ^াসে বনফুল কোম্পানীর মালামাল ক্রয় করতে গিয়ে ঠকছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সুত্রে আরো জানা যায়, উক্ত বনফুল কোম্পানীর নামে অন্যান্য কোম্পানীর মালামাল খেয়ে অনেকেই রোগাক্রান্ত হচ্ছে বলে ভূক্তভোগীরা উক্ত কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও ফলপ্রসু কোন সমাধান পাচ্ছে না। গতকাল বনফুল কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উক্ত বনফুলের সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলার তাগাদা দিলেও তা মানছে না ম্যানেজার আয়ুব। এ ব্যাপারে বাসস্টেশনের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন সওদাগর, কলেজ ছাত্র ইমরান, স্কুল ছাত্র সৈকত পালসহ অনেকেই জানান, ঈদগাঁওস্থ ফাস্টফুড ব্যবসায়ী বনফুলের নাস্তা খেতে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের অপরিস্কার ও অপরিচ্ছন্নতা দেখতে পায়। তারা দ্রুত এ প্রতারণামূলক ব্যবসা বন্ধের দাবী জানিয়ে আসছে।
এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের দায়িত্বরত বনফুলের কর্মকর্তা দিলদার আহমদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কয়েকদিন ধরে তাকে ব্যানার, পোস্টার, সাইনবোর্ডসহ সমস্ত প্রচার পত্র নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপরও অমান্য করলে কর্তৃপক্ষ মামলা করতে বাধ্য হবে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁওস্থ ম্যানেজার আয়ুবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনিও স্বীকার করে বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বকেয়া নিয়ে কিছু ঝামেলা এড়াতে হয়েছিল। পরিশোধ করে পুনরায় ব্যবসা করবেন বলে জানান।
########################
ঈদগাঁওতে বেতনভাতা উত্তোলনে এমপিওভূক্ত শিক্ষকদের ভোগান্তি
সেলিম উদ্দিন, ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি::
কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে অবস্থিত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা সমুহে কর্মরত এমপিওভূক্ত প্রায় ৪ শতাধিক শিক্ষক কর্মচারীর ভোগান্তি যেন পিছু ছাড়ছেনা। বেতনভাতা উত্তোলনে তাদের দুর্দশার যেন শেষ নেই। বেসরকারী ব্যাংক বাদে ঈদগাঁওতে সোনালী, রুপালী, কৃষি এই তিনটি সরকারী ব্যাংকের শাখা থাকার পরও কোন অদৃশ্য কারনে শিক্ষক কর্মচারীদের যুগ যুগ ধরে প্রায় ৪৫ কি:মি: পথ পাড়ি দিয়ে সুদুর জেলা সদরের জনতা ব্যাংক থেকে বেতনভাতা উত্তোলন করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম যেমনিভাবে ব্যাহত হচ্ছে তেমনিভাবে অর্থ ও সময় উভয়েরই অপচয় ঘটছে। প্রায়শ: প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে সহকর্মীদের ভূলবুঝাবুঝি ও ব্যাংকে দেরীতে পৌঁছলে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বকাঝকা ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের ঘটনাও হরহামেশা ঘটে থাকে বলে জানান, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক কর্মচারী।
ঈদগাহ্ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাত বলেন, পাঠদান প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখতে এবং শিক্ষক কর্মচারীদের দূর্দশা লাঘবে ঈদগাঁওতে অবস্থিত সরকারী ব্যাংকের যেকোন একটি শাখায় শিক্ষক কর্মচারীদের ব্যাংক একাউন্টটি স্থানান্তর করা হলে ঈদগাঁওতে কর্মরত সকল শিক্ষক/কর্মচারীরা তার সুফল ভোগ করতে পারতেন।
ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন,কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতা উত্তোলনের সুবির্ধাতে যদি ঈদগাঁওস্থ সোনালী ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয় তবে বৃহত্তর ঈদগাঁওতে কর্মরত সকল শিক্ষক/কর্মচারীদের সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি পাঠদান প্রক্রিয়ায়ও ব্যাঘাত ঘটবেনা।
ঈদগাহ আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল ইসলাম জানান, দুর্ভোগ, সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে যদি সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যাংক একাউন্টটি কক্সবাজার জেলা সদরের জনতা ব্যাংক থেকে ঈদগাঁওস্থ সরকারী ব্যাংকের যেকোন একটি ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়। তিনি শ্রীঘ্রই এ ধরনের দুদর্শা থেকে মুক্তি পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিক সহায়তা কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: